ঢাকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

নির্বাচনের আগে ইসলামের নামে বিভাজন সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগ বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১০ রাত

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত আজমতে সাহাবা সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন। ছবিঃ পরিবর্তন সংবাদ

নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল ইসলামকে বারবার ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে একটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির স্বার্থে ইসলামকে বারবার ব্যবহার করে বিভাজন তৈরি করতে চায়। তারা ইসলামের ক্ষতি করতে চায়। আমাদের তাদের থেকে দূরে থাকা এবং সতর্ক থাকা উচিত।’ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আজমতে সাহাবা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কাসেমী পরিষদ আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। যদিও সালাহউদ্দিন আহমদ সরাসরি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তার বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী দলটি ইঙ্গিত স্বরূপ মনে করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মদিনার ইসলামের অনুসারী। রাসুল (সা.) যে ইসলামের পথ দেখিয়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে ইসলামের চর্চা করেছেন, আমরা সেই ইসলামের অনুসরণ করি। আমরা কেউ মওদুদি ইসলামের অনুসারী নই। তাই যারা ফিতনা সৃষ্টি করে বাংলাদেশে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায়, তাদের থেকে আমাদের সাবধান থাকা উচিত।’

এক সময়ের জোটসঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর বিএনপি ও জামায়াতের দূরত্ব বেড়েছে। সংবিধান সংস্কার ও গণভোট নিয়ে দুই দল এখন তীব্র রাজনৈতিক অবস্থানে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পূর্বের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকার ইসলাম ও আলেমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক রাজনীতি করেছে। তারা মুসলিমবিদ্বেষী নীতি চালিয়েছে এবং দেশের মানুষ তা দেখেছে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আদর্শিক ও সঠিক রাজনীতির চর্চার মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী তথা কথিত অপরাজনীতির সংস্কৃতি নির্মূল করতে হবে। ভালো রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা করলে বাংলাদেশে অপরাজনীতি বিলুপ্ত হবে, আদর্শিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।’

সম্মেলনে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন আওলাদে রাসুল আল্লামা সাইদ আল হোসাইনী (পাকিস্তান), আল্লামা খলিল আহমদ কুরাইশী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য আবু আল ইউসুফ, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার প্রমুখ।

Link copied!