ঢাকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাফল্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২৫ দুপুর

ছবি: সংগ্রহীত

সাফল্যের সঙ্গে দেশের সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থায়ী ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাঠামোগত সংস্কারের যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ শুধু দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা দেবে না, বরং এটি গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।

জনগণ এখন এমন পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত করবে, স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি রোধ করবে এবং নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত করবে। তিনি উল্লেখ করেন, এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি চাপ ছিল না; বরং রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সমাধানের পথ খুঁজে নিয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের প্রতীক।

ড. ইউনূস বলেন, “জুলাই সনদ পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে।” তিনি কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্যবৃন্দ ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দারসহ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি সতর্ক করে বলেন, “ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী দেশকে বিভক্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই জাতীয় ঐক্য বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

” তিনি আরও বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে এখন বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা কোনো ব্যক্তি বা একক সংগঠন নয়, বরং সকল রাজনৈতিক দল ও পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হবে।

Link copied!