সাভারের আশুলিয়ার খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
রোববার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং ব্যাপক লুটপাট ও নাশকতার ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাসের ফটক থেকে একাডেমিক ভবনের ভেতর পর্যন্ত দেখা যায় ভাঙাচোরা আসবাবপত্র, কাঁচ, দরজা, থাই গ্লাস, অফিস ফাইল, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কম্পিউটারসহ বহু মূল্যবান জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে আছে। অন্তত তিনটি বাস, পাঁচটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেটকার এবং একাধিক মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়; কিছু যানবাহন থেকে সকাল পর্যন্ত ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাতের শুরুতে সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীর ফেলা থুথু অসর্তকতাবশত ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর গায়ে লাগাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়, পরে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ভাড়া বাসায় হামলা চালান। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ড্যাফোডিলের বড় একটি অংশ সিটি ইউনিভার্সিটির দিকে অগ্রসর হয়ে পাল্টা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অভিযোগ করেন যে, দীর্ঘ সময় সহিংসতা চললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসময়ে হস্তক্ষেপ করেনি, ফলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ড্যাফোডিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের সন্তানস্বরূপ এবং সমাধানের চেষ্টা চলছে, তবে ড্যাফোডিলের আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে পরিবেশ এখনো উত্তেজনাপূর্ণ এবং ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :