ঢাকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের নামে মহাপ্রতারণা হয়েছে: এনসিপির তুষার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৬ দুপুর

ছবি: সংগ্রহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার অভিযোগ করেছেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের নামে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মহাপ্রতারণা সংঘটিত হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয় সভায় তিনি বলেন, “বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণের আগেই জুলাই সনদের নামে প্রতারণা হয়েছে, যার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।” তিনি জানান, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম—সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা পরিষ্কার না হলে স্বাক্ষর করব না।

” তুষার আরও বলেন, “শাপলাকলি দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের দলকে ছোট করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু এ তরুণ প্রজন্মই গণতন্ত্রের পতাকা উঁচু করেছে। গত ১৭ বছরে যখন রাজনীতি ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না, তখন এই প্রজন্মের আন্দোলনেই স্বৈরাচার পতন ঘটেছে।”

নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “একবার বলছেন দিবেন না, আবার বলছেন দিবেন—এই অহংকার থেকে বের হয়ে আসুন। আপনারা শাপলাকলি দিতে চেয়েছেন, তা শিগগিরই শাপলা হয়ে ফুটবে। ফরিদপুরে শাপলা হবে নৌকার বিকল্প; নৌকা ডুবে যাবে, শাপলা পানিতে ফুটে উঠবে।” তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন এখন বিশেষ একটি দলের প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে, ফলে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তুষার বলেন, “একটি বড় দল জুলাই সনদ নিয়ে ‘না ভোট’ প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের ৩০ শতাংশ ভোট না ভোটে গেলেও বাকি বিপুল সংখ্যক ভোটে জুলাই সনদ পাশ হবে। তখন তারা জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “বিএনপি অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন, অথচ এখন তারাই ‘না ভোট’-এর বিরোধিতা করছে।”

তিনি বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষের বিপরীতে না দাঁড়িয়ে, বরং ‘হ্যাঁ ভোট’-এর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির ফরিদপুর জেলা প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলা এবং সঞ্চালনা করেন নগরকান্দা উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মাদ নাজমুল হুদা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন। আরও বক্তব্য দেন মাদারীপুর জেলা প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল হাওলাদার, রাজবাড়ী জেলা সমন্বয়কারী সৈয়দ জামিল হোসেন হৃদয়, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহমেদ ও শরীয়তপুর জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মো. রুহুল আমিন। সভায় ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলার এনসিপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!