মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আজ আদালতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির যুক্তি উপস্থাপন করছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা তিন দিন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া যুক্তি উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ইন্টারভেনার হিসেবে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং শেষ দিনে শিশির মনিরও শুনানিতে অংশ নেন।
গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন প্রাথমিক শুনানি শেষে আপিল বিভাগে গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে ওই রায়ের ভিত্তিতে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ড. বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম. হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৬ অক্টোবর আলাদা পুনর্বিবেচনা আবেদন জমা দেন।
এছাড়া ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নওগাঁর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও পৃথকভাবে আবেদন দাখিল করেন।

আপনার মতামত লিখুন :