বেতন কাঠামোয় নবম গ্রেড নির্ধারণসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি রোববারের মধ্যে পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে দেশের সাতশ সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন নিম্নপদ দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডে সমন্বয় পেলেও সহকারী শিক্ষক পদটি এখনও দশম গ্রেডেই আটকে আছে। ন্যায্যতার জায়গা থেকেও এ পদটির গ্রেড সংশোধনে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তারা বারবার বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন।
শিক্ষকদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালালেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তারা আর বিদ্যালয়ে ফিরবেন না— দাবি আদায়ের পরেই কর্মস্থলে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন; সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী তিন কর্মদিবসের মধ্যে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বকেয়া মঞ্জুর করা; এবং ২০১৫ সালের আগের নিয়মে সহকারী শিক্ষকদের অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্টসহ বর্ধিত বেতন সুবিধা পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশ।
এদিকে একই দিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষক তিন দফা দাবিতে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এ অবস্থায় প্রাথমিকের এক কোটির বেশি শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন— সরকারের প্রস্তাবিত সময়সীমা শেষ হলেও দাবি পূরণ হয়নি, তাই বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে যেতে হয়েছে। দ্রুত যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অচলাবস্থা দূর করার আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :