সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবির বিষয়ে অগ্রগতি দৃশ্যমান না হওয়ায় আবারও আন্দোলন কর্মসূচিতে নামেছেন শিক্ষকরা।
ইতোমধ্যে শিক্ষকদের একটি অংশ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।
‘সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন জাতীয় সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহিনুর আক্তার। শাহিনুর আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ২৩ ও ২৪ নভেম্বর আমরা অর্ধ-বিদস কর্মবিরতি শেষে মঙ্গলবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
এর মধ্যে যদি মন্ত্রণালয় আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করে তাহলে পরীক্ষা বর্জনসহ ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচিতে যাচ্ছি। পূর্বঘোষিত ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এর কর্মবিরতিসহ আন্দোলন কর্মসূচির রয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ ‘ব্যানারে রয়েছে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের ১১টি সংগঠন।’ জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আন্দোলন কর্মসূচিতে যাবো। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারা দেশে একসঙ্গে সব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাবেন।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবো। উল্লেখ্য, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে গত ৮ নভেম্বর শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলার শিকার হন।
আন্দোলনের তৃতীয় দিন গত ১০ নভেম্বর রাতে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের সরকারের নিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ওইদিন রাতে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছিলেন, শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নভেম্বরের মধ্যেই যদি দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয় তাহলে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিসহ আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তিন দফা:
- সহকারী শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ১০ম গ্রেড দেওয়া।
- ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান।
- শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

আপনার মতামত লিখুন :