দুই ম্যাচ শেষে সিরিজে সমতা, আর এখন সব আলোচনার কেন্দ্র মিরপুরের কালো উইকেট। টার্ন, অসমান বাউন্স আর ধীরগতির বল—সব মিলিয়ে এই উইকেট যেন ব্যাটারদের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। তাই তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটিই এখন অলিখিত ফাইনাল, যেখানে জয় নির্ভর করছে স্পিনের বিপক্ষে টিকে থাকার সক্ষমতার ওপর।
আজ দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই দলেরই লক্ষ্য এক—স্পিনের ফাঁদ এড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। চেনা কন্ডিশনে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াকু মানসিকতা তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আগের ম্যাচে তারা পুরো ৫০ ওভার স্পিনার দিয়েই বল করেছে, এক ওভারও পেসারকে দেয়নি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ছিল একই পরিকল্পনা—স্পিন দিয়েই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। তবে বাংলাদেশের বড় সমস্যা স্ট্রাইক রোটেশন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাদের ৬২ শতাংশ বলই ছিল ডট, যা ব্যাটারদের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট করেছে। এমন কঠিন উইকেটে আলো ছড়িয়েছেন রিশাদ হোসেন, যিনি দুই ম্যাচে ৬৫ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাঁর ব্যাটিংয়ের সাহস ও সঠিক শট নির্বাচন টপ অর্ডারের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। বোলিংয়ে স্পিনাররা ধারাবাহিক, তাদের সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
আজও একাদশে রিশাদ, মিরাজ, নাসুম ও তানভীর ইসলামকে নিয়েই স্পিন জাল বিছাতে চায় বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং উন্নতি জরুরি, তাই টপ অর্ডারে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে তানজিদ হাসান তামিমকে দেখা যেতে পারে। অপরদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।
দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জয় তাদের মনোবল বাড়িয়েছে। অধিনায়ক শাই হোপ দুর্দান্ত ফর্মে আছেন, ম্যাচসেরাও তিনি। আলিক অ্যাথানেজের মতো পার্ট-টাইম স্পিনাররাও কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। সব মিলিয়ে আজকের মিরপুরের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে স্পিন বনাম ধৈর্যের যুদ্ধ। যে দল স্পিন সামলে রান তুলতে পারবে, তারাই হাসবে সিরিজের শেষ হাসি।
দুপুর দেড়টায় শুরু হবে এই উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই, যেখানে বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই—সুপার ওভারের ক্ষত মুছে সিরিজ জয়।

আপনার মতামত লিখুন :