ঢাকা শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপি চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুতি—ভয়মুক্ত দেশ ও সমাধানের রাজনীতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৪:০৪ দুপুর

ছবি: সংগ্রহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে সমাধানের পথে বিশ্বাসী এবং ভবিষ্যতে কোনো বাংলাদেশিকেই রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, দেশের জন্য এখন রাজনীতির চেয়েও বড় প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ, যেখানে সকলের মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকবে। কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত প্রকাশ করলে হুমকির মুখে পড়তে হবে না, বরং গণতন্ত্রের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হবে। নতুন চিন্তা ও সমাধানের পথেই বিএনপি বিশ্বাসী এবং তারা প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ যেন অন্ধকারের ছায়ার নিচে চাপা পড়ে ছিল। যারা তখনকার সরকারের বিপরীতে ছিলেন, তাদের জন্য প্রতিটি দিন ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কেটেছে। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন—সবই ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও বিএনপির পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রক্তপাত হয়েছে। তবে, ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক ও সাধারণ মানুষ—সবাই সেই ভয়ংকর পরিবেশের ক্ষত বহন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে তার নিজস্ব কথা বলার অধিকারও প্রায় সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছিল। তবে চাপিত নীরবতার মধ্যেও তিনি গণতন্ত্র, অধিকার ও মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়েছেন। তার বক্তব্যে খালেদা জিয়ার প্রতিরোধ ও ধৈর্যকে বড় উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যিনি কখনো গণতান্ত্রিক আদর্শ ত্যাগ করেননি। তারেক রহমান বলেন, মা ও পরিবারও এই কঠিন সময়ে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

তারেক রহমান বলেন, ইতিহাসের সত্য হলো—কষ্ট মানুষকে শুধু তিক্ত করে না; বরং মহান করে। দেশের পরিবর্তনের জন্য ঘৃণার পথ নয়, ন্যায়, নৈতিকতা ও ক্ষমাশীলতার পথই গ্রহণ করতে হবে। তিনি জানান, বিএনপি মারাত্মক ক্ষতি সহ্য করেছে, কিন্তু ভেঙে যায়নি। দলটি সত্য, ন্যায়, জবাবদিহি ও আইনের শাসনে বিশ্বাস রেখে আরও দৃঢ় হয়েছে। তার লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়া, যেখানে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠ, অধিকার ও জীবন মূল্যবান এবং মানবাধিকার দেশের ভবিষ্যতের ভিত্তি হবে।

Link copied!