রায় জালিয়াতি, হত্যা ও দুর্নীতিসহ মোট পাঁচ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব মামলার জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) তার আইনজীবীরা আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথকভাবে পাঁচটি মামলার জামিন আবেদন দাখিল করেন।
রায় জালিয়াতির মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলার রায়ের সময় আপিল বিভাগে সাতজন বিচারপতি ছিলেন এবং তারা সবাই মিলে রায় দিয়েছেন। ফলে শুধুমাত্র একজন বিচারকের পক্ষে এই রায় দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া রায় প্রদানের সময় কোনো বিচারপতিকে জোর বা প্রভাবিত করা হয়নি এবং এতদিনে কেউ আপত্তিও জানাননি।
অন্যদিকে হত্যা মামলার আবেদনে বলা হয়, যেদিন হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন পর্যন্ত খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় তিনি পুলিশের প্রোটোকল ছাড়া কোথাও যেতেন না। পুলিশের মুভমেন্ট ডায়েরি অনুযায়ী, ঘটনাদিন তিনি নিজ বাসায় ছিলেন।
দুর্নীতির মামলার আবেদনে বলা হয়, রাজউকের পূর্বাচল প্লটের কিস্তি বিলম্বে পরিশোধের কারণে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ টাকার সুদ মওকুফের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে খায়রুল হক কখনও সুদ মওকুফের আবেদন করেননি। সুদ মওকুফ একটি প্রশাসনিক ও আইনি বিষয়, এটি কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয় বলেও উল্লেখ করা হয় আবেদনে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

আপনার মতামত লিখুন :