এবার নেপালের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে শ্যুটিং করলেন সুনিপুণ নির্মাতা নাজনীন হাসান খান। রাজীব মণি দাসের রচনা ও নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় ‘নেপালে হানিমুন’ নাটকে অভিনয় করেন- আ.খ.ম. হাসান, শিবলী নোমান, সুমাইয়া অর্পা, প্রিসিলা ডি কস্টা, ফরিদ হোসাইন প্রমুখ।
নেপালে হানিমুন সম্পর্কে নির্মাতা নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘গল্পটি এক কথায় অসাধারণ। মানুষ মনের প্রশান্তির জন্য বিদেশের মাটিতে ঘুরতে যায়, কিন্তু ঘুরতে গিয়েও যেন দেশের সেই পারিবারিক ঝুট-ঝামেলা লেগেই থাকে। এমনই একটি গল্প নেপালে হানিমুন। যা দর্শক হৃদয়ে জমে থাকা বিষাক্ত জঞ্জাল দূরীভূত করবে বলে আমি আশাবাদি।’
নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘আমরা সংসার জীবনে, চাকরি কিংবা ব্যবসা করতে গিয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখন সেই ক্লান্তিবোধ দূর করতে দূর অজানায় ঘুরতে যাই। নেপালে হানিমুন গল্পে সেই বিষয়কেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।’
গল্পে দেখা যায়- রহিম ও এশা বিয়ের পর ব্যস্ততার কারণে হানিমুনে যেতে পারে নাই, সেই দুঃখ বহুদিন বহন করছে এশা ও রহিম। বউকে নিয়ে শখ পূরণের উদ্দেশ্যে নেপালে আসে হানিমুন করতে। কিন্তু ঘুরতে বের হতেই স্ত্রী এশার সাথে ঝগড়া শুরু হয়। এশার ভাইয়ের টাকায় হানিমুনে এসেছে, সেই খোটা দেয় রহিমকে। রহিম ভীষণ কষ্ট পায়।
নাদিম ও শিলাও ঘুরতে আসে নেপালে, তবে পুরনো কাসুন্ধি শিলার প্রেমিকা রাশেদকে নিয়ে এখনও চর্চা হয়।
ঘুরতে গিয়ে দেখা হয় এশার পুরনো বান্ধবী শিলার সাথে। শিলাও তার স্বামী নাদিমকে নিয়ে ঘুরতে আসে নেপালে। এইভাবে হঠাৎ প্রিয় বান্ধবীর দেখা পেয়ে দুজনেই অবাক হয়। দুই বান্ধবীর খোশগল্পের সঙ্গে যুক্ত হয় রহিম ও নাদিম। স্ত্রীদের অত্যাচারে দুজনেই যেন অতিষ্ট, সেই দুঃখও শেয়ার করে নিজেদের মধ্যে।
রহিমের সামনে হঠাৎ গোয়েন্দার চরিত্রে হাজির হয় চিন্টু। চিন্টুর অদ্ভুত কথায় বিরক্ত হয় রহিম। একই সাথে নাদিমের সঙ্গেও দেখা করে চিন্টু। নানানভাবে দুজনকে যাচাই করা শুরু করে। চিন্টুর কথায় তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা চিন্টুর জন্য ফাঁদ পাতে। পাদে পা দেয়া মাত্রই ধরে উত্তম মধ্যম দেয়া শুরু করে দুজন। তখনই ঘটনাচক্রে হাজির হয় এশা ও শিলা। চিন্টু তাদেরকে দেখে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। কিন্তু চিন্টু কিসের জন্য তাদের পিছু নিয়েছে, সেই রহস্য উদঘাটনে রহিম ও নাদিমের যেন চিন্তার অন্ত নেই।
শীঘ্রই নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত লিখুন :