ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

মূলধারায় কওমি শিক্ষার সমযোগ্যতা নিশ্চিতের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৬ দুপুর

ছবি: সংগ্রহীত

কওমি শিক্ষাব্যবস্থাকে দেশের সাধারণ, কারিগরি ও আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার সমযোগ্যতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো নীতিমালা, ২০২৫’-এর একটি খসড়া প্রণয়ন করে জনমতের জন্য প্রকাশ করেছে। এর লক্ষ্য বিভিন্ন শিক্ষা ধারার মধ্যে যোগ্যতার সজ্ঞায়ন ও সমন্বয়, পূর্ব শিক্ষার স্বীকৃতি, জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখা।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা দুটি প্রধান ধারায় বিভক্ত—সরকারস্বীকৃত আলিয়া এবং স্বতন্ত্র ধর্মীয় পাঠ্যক্রমভিত্তিক কওমি। কওমিকে মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে নিচের স্তর থেকে শুরু করে সার্টিফিকেশন মান আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করার ওপর জোর দিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সামসুর রহমান খান বলেছেন, কওমি শিক্ষাকে সমমানের কাঠামোয় আনতেই হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হয়।

তিনি জানান, বাস্তবায়ন ম্যানুয়েল তৈরির কাজ চলছে, যেখানে কোন স্তরে কতটুকু পড়ানো হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্য থাকা উচিত—তা নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই কাঠামো বাস্তবায়নে কাজ করবে।

প্রস্তাবিত কাঠামোয় মোট ১০টি স্তরে জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমতার শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে, যা শিক্ষার ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং এক ধারা থেকে অন্য ধারায় স্থানান্তর সহজ করবে। এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কওমি শিক্ষার্থীকে মূল ধারার বাইরে রাখার বর্তমান পরিস্থিতি দূর হবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসাগুলো প্রধানত আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এবং বেফাকসহ ছয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। প্রস্তাবিত জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো বাস্তবায়িত হলে দেশের সব শিক্ষা ধারার সনদ আন্তর্জাতিকভাবে আরও গ্রহণযোগ্য হবে এবং কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষায় সুযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

 
 

Link copied!