অভিনয় শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শিল্পীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ হোক। শিল্পের অগ্রগতির জন্য শিল্পীদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
গত রবিবার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা এক মামলার জামিন নিতে তিনি আদালতে যান এবং জামিন নেন। মেহজাবীন জানিয়েছেন, এক অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে তার এবং তার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গত ৯ মাসে তিনি এ মামলার কোনো তথ্য পাননি, কারণ অভিযোগকারী পুলিশকে তার সঠিক ফোন নম্বর, ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি। ব্যবসা করার প্রমাণ কিংবা ২৭ লাখ টাকা দেওয়ার প্রমাণও তিনি দেখাতে পারেননি।
মেহজাবীনের বক্তব্য থেকে তার ভক্তদের মধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে যে, মামলাটি তাকে হয়রানি করতেই করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ-উর-রহমানের আদালতে ডিপজলের ভক্ত পরিচয় দেওয়া এক নারীর স্বামী তার বিরুদ্ধে একটি ‘হত্যাচেষ্টা মামলা’ করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় ডিপজলের সহকারী মো. ফয়সালকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই ডিপজল ও ফয়সাল ওই নারীকে মারধর করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছেন। এই অভিযোগে নারীটি মামলা করার পর আদালত তা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ডিপজলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিত্তিহীন অভিযোগে শুধু হয়রানির উদ্দেশ্যেই একই ভক্তের পরিবার এসব মামলা করেছে। অভিযোগকারী যে ঘটনাগুলোর কথা বলেছেন, ওই সময় ডিপজল চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। এখনও তিনি চিকিৎসাজনিত কারণে দেশের বাইরে আছেন। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন তিনি এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘ সময় বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকতে হচ্ছে।
ডিপজলের পরিবার বলছে, এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক মামলা ডিপজলকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে। একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি পুরো শিল্পী সমাজের জন্য ভয়, আতঙ্ক ও মানহানিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
তারা আরও জানায়, শুধু ডিপজল নয়, যেকোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :