রাশিয়া বিশ্বাস করছে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধকে আরও উত্তেজিত করার মতো কোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নেওয়ার পথে নেই। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তাস বার্তাসংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
ল্যাভরভের ভাষ্য অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পক্ষে ছিলেন। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থান বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার দেখিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র সাধারণ বিচারবুদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেবে এবং সংঘাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে না।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সম্প্রসারণ এবং রাশিয়ার সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো স্থাপনই ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তেজনার মূল কারণ। ট্রাম্পও এ বিষয়ে সতর্ক ছিলেন, এবং রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছিলেন।
ল্যাভরভ জানিয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রচেষ্টা ব্যাহত করছে। তারা রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, যা তাদের নিজ অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তবে, রাশিয়া বলছে, এই ‘রুশবিরোধী উন্মাদনা’ শেষ হলে তারা ইউরোপের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
একই সময়ে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাইব্রিড যুদ্ধের অভিযোগ এনেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো গত মাসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৯তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজের ওপর সম্মত হয়েছে এবং ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করছে, যার মধ্যে ঋণ প্রদান এবং রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ ব্যবহারের প্রস্তাব রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :